রওশন রুবীর কবিতা

রওশন রুবীর কবিতা

পাঠ করো নান্দনিক মোহ আর ঐশ্বরীক গীত

দেয়াল ঘেরা ঘর, ঘরের ভেতর নিমগ্নতা, প্রাণের মধ্যে প্রাণ পর্দা দেয়া,
তারপর বেরিয়ে এসো নিমগ্নতা ধ্যান রেখে।
আমাদের ডিঙি, ভাঁটফুলবিল তারুণ্য হারিয়েছে, পৌড়ত্বের চুলে
অসংখ্য ঝুল আর সংশয় কোঁকায়, কৈশোরের ঢেউয়ে বাঁধাঘাট মিলিয়েছে
কবে, কোথায়! সরিষার ক্ষেত, ফলবতী খেজুর গাছ, কুড়িয়ে আনা বেতফল,
পাখির বাসা, কচুরির ফুল গাঁথা পরান আমার, ঝাঁঝালো দিনের দহন পেরুতে পেরুতে
কবে যেন হয়ে গেছে সাদা কালো বসন; চলো আজ মরচে তুলে দেখি কত জমেছে শীত।

বসন্ত ডাকলে মনেপড়ে কৃষ্ণচূড়ার নামে কিনেছি প্রিয় ঋণের পরিতাপ,
ভিড়ের ভেতর থেকে ভাপা ধানের গন্ধমাখা বুনো উল্লাস করেছি পৃথক,
ভুলেছো সব, ভুলতেই কি হয় খোলস বদলে নিলে? নিমগ্নতা বেরিয়ে এসো;
বেরিয়ে এসো এই অভিজাত্যময় পৃথিবীর রেকাব থেকে।
দেখো অমায়িকতার বদলে তুলেছি যত কাঁটা; ওরা সংশয়হীন আপনে গেঁথে আছে;
চলছি তাই। চঞ্চলতা খুলে আছে পাঠশালা, ধর্মালয়ে ভেসে যাচ্ছে শান্তির আলো;
পাঠ করো নান্দনিক মোহ আর ঐশ্বরীক গীত; আমার অবধারিত নিদ্রা আসে আসুক।