তৈমুর খান এর কবিতা
হাতে আর নকশা নেই
আহা চিতল মাছ!
সন্ধ্যার জলে ফিরছে ঘাই মেরে
আমরা নির্জন নৌকায় বয়ে চলেছি ক্লান্তির ভার
সংকেতের আলোয় সেজে উঠছে সভ্যতা আবার
আমরা শুধু বিশ্রামের টিকিট কিনতে চাই
খুঁজে খুঁজে দেখি কোন্ পাড়ায় বিশ্রামের ঘর
হেমন্তকাল লটকে আছে তাপসীর বাগানে
মাধবীরা ফুটবে কখন বাতাসই তা জানে
কৃপা নেই; সংরাগের নীলকরতলে নক্ষত্র জেগেছে
স্বপ্নের শিহরন লেগে কাত হচ্ছি বারে বারে
হাতে আর নকশা নেই পথ চিনবার
আঁধার ঘন হয়ে আসছে আবেগের জলে
বিচ্ছিন্নতা
প্রসন্নতা আজও আসবে না!
মরচেধরা বিবেকেরা চাবুক হাতে দাঁড়িয়ে আছে
সমুদ্র-ফেনার মতো জমছে হতাশা
এই সেই নৌকাখানি আমার, আজ কোথাও ভাসাব না
তীরে এসে জুটেছে সম্পর্কিত বিশ্বাসের ছায়া
আমার ভঙ্গুর দিন দৈব-নিশিতে ডুবে যায়।
শয্যা জুড়ে নগ্ন চাঁদ
প্রগলভ মাংসল প্রেমে ছুটছে সবাই
ইশারা পেয়েছে ওরা, রাত্রিযাপনের চাবি দিয়েছে ওদের
সব দরজা খুলে গেলে ওদের শয্যা জুড়ে নগ্ন চাঁদ
মৈথুনের ঘ্রাণে ডুবে যাবে দেশ
বাইরে অনুজ্জ্বল শুধু প্রেমের কাহিনি
প্রদীপ জ্বালাবে মৃত্যুর পর।
সুপ্রভাত
দু-একটি সুপ্রভাত কখনো কখনো আসে
বাগানে সেদিন সব রঙিন পাখি ডাকে
ডালে ডালে কুসুমের কানাকানি
সূর্যের হাসিতে আমরা বুঝে নিই তাকে।