গল্প : আজাব

গল্প : আজাব

আজাব

স্বাতী চৌধুরী

ছায়াঘেরা পুকুরের সবটুকু শীতল পরশ শোষন করে একাশিয়া,করই,মেহগণির পাতাগুলো শণ শণ করে আওয়াজ তোলে প্রবল হাওয়া ছড়িয়ে দিচ্ছে তার চারপাশে।তাতেই আশ্বিনের রোদে একটা ভেজা আমেজ সারা প্রকৃতির শরীর মনে প্রশান্তি বুলিয়ে দেয় আর ডোবার ধারে হেসে ওঠে কাশের ঝোপ,পুকুরের কোণার সোনালু গাছটা।রোজিনা এর সব কিছুই দেখছিল,আশ্বিনা বাতাসের শনশন আওয়াজও শুনছিল কিন্তু না এই কাশের ফুল বা ডোবার জলে পাতিহাঁসের প্রেম কেলি এবং এই শনশন হাওয়া কোনটাই তাকে উচ্ছাসে না মাতিয়ে বরং রোমাঞ্চের পরিবর্তে কেবল হুহু হুহু করে তার বুকের হুতাশনকে উসকে দিল।সেই হুতাশনের গনগনে তাপে তার মন পুড়ে যেতে লাগল।মনের তাপ শরীরেও ছড়াল তাই আশ্বিনের শেষ দুপুরের ভেজাভেজা রোদের স্নিগ্ধ প্রশান্তির কিছুই টের পেল না সে।শরীরে মনে সে কেবল পুড়তে লাগল।
রোজিনা পুড়ছে।আর কোথাও একটা কাক ডাকছে।তবে তারস্বরে নয়।রোজিনার মনে হয় মাঝে মাঝে কাকেরাও ডাকার বেলায় তাদের স্বর ওঠায় নামায়।তাই কাকের স্বর সবসময় কর্কশ মনে হয় না রোজিনার কাছে কিন্তু সে জানে তার শাশুড়ি ইসমত আরার স্বরের কোন ওঠানামা নেই। সারাদিনমান একই লয়ে বউ রোজিনার প্রতি তার কাকের থেকেও কর্কশকন্ঠের বিষ ঢেলে আউলা কীর্তন গায় আর শ্বশুর তাতে দোহার দেয়।কিন্তু তার প্রতি শাশুড়ির কেন এই বিষ বরিষণ?সে জানে না।বাড়ির পেছনের বারান্দায় বসে বসে রোজিনা এতক্ষণ এসবই ভাবছিল।অবশ্য ভেবে ভেবে এর কোন হদিশ সে পায় না।অথচ পাঁচ বছর আগে এই শ্বশুর শাশুড়িই তাকে পছন্দ করে এ বাড়িতে এনেছিল।প্রথম প্রথমতো নতুন নতুন রঙে আদর সোহাগও করেছিল।আজ মনে হয় সব ফাঁকি।সব অভিনয় ছিল।এরা কখনো কাউকে ভালবাসে না।শ্বশুর শাশুড়ীর ফাঁকিবাজি,নাটুকে স্নেহ ভালবাসার কথা মনে করে তাদের প্রতি আজ বিদ্বেষে পূর্ণ হয়ে উঠেছে তার মন।
আজ শুধু শশুর শাশুড়ি নয় নিজের মা বাবার প্রতিও তার অন্তর বিদ্বেষে ভরে উঠেছে।বিয়ে করার মোটেও ইচ্ছে ছিল না রোজিনার।মেট্রিক পাশ করে বাড়ির পাশের সয়দাবাজ কলেজে ভর্তি হবে বলে স্বপ্ন দেখেছিল সে।পাশের বাড়ির বান্ধবী হেনা মিনা ও রুবাইয়ার যদিও তার আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছিল তবু রঙমালা,সাবিহা সুমি আর পিংকিতো কলেজে ভর্তি হয়েছে।তারা এখন আই এ পাশ করে অনার্স পড়ছে।কেউ সয়দাবাজ কলেজে কেউ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে।এমন তো না যে,তার বাপের মেয়েকে কলেজে পড়ানোর সাম্যর্থ ছিল না।প্রথমতো রাজীও হয়েছিল।কলেজের ফরম আনতে বলেছিল।এনেও ছিল সে ফরম।কিন্তু এই নুরপুরের পাশেই রুটি গ্রামে তার ফুফুর বাড়ি।একদিন তার ফুফা এক বিদেশি ছেলের জন্য প্রস্তাব নিয়ে যেতেই মা বাবা যেন মেয়ের বিয়ের জন্য পাগল হয়ে গেল।যেন এমন জামাই ও পরিবার দুনিয়ার আর একটা নেই যা হাতছাড়া হয়ে গেলে আর পাওয়া যাবে না।
তারা বলল রাখ তোর কলেজের পড়া!বলি কলেজে পইড়া হইবোটা কি?মাইয়া মানুষ তুমি।হেইতো সংসার করন লাগবো।ডেগ ঠ্যালন লাগবো।পোলাপান জন্মাইয়া মানুষ করন লাগবো।যেই পড়া হইছেগো মা তাই ঢের।আর কাম নাই।হোন তুমিত তাও মেট্রিক পাস দিসো।আমরাতো মাইও অতলা পড়ার কতা ভাবতামই পারছি না।
তখন এই কাককন্ঠি শাশুড়ি মুখ দেখতে গিয়ে তার থুথনি ধরে বলেছিল মাশাল্লা!চেহারাখান তো দেখছি খুব সুন্দর।আমার পুতের লিগি এমন একখান বউইতো চাই আমি।ফিরা মেট্টিক পাশও দিসো ?খুব ভালা।তোমারে আমি কলেজো পাড়াইয়াম।পুত আমার বিদেশ থাকবো তুমি কি করবায়? পড়বায়।যতখুশি।
কিন্তু বিয়ের একমাসের মাথায় শাশুড়ির স্বরূপ বেরিয়ে পড়েছিল।বলে ধুর বেডি!বিয়া ঠিক করনের সময় জামাই কইন্যার বাড়ি থাইক্যা কত কতাই কয় ইতান কেউ মনও রাখে না।আর যারা কয় আর যারা হোনে তারা সবাই জানে ইতান কথা রাখার লিগি কয়ও না।
আরে ও আভাগীর বেডি অত পড়া পড়া কইচনালো।আমার পুতে পয়সা খরচ কইরা তোরে বুঝি পড়াইবার লিগি আইনছে?সংসারের কাম আছে কাম কর।রোজিনার বর আনাস বলে মাইয়া মানুষ বেশি বিদ্যান অইলে পুরুষ লোকের দাম থাকে না।আমারে পাগলে পাইছে নি যে তোরে আরও লেহাপড়া করায়াম?এমনিতেই বেশী বিদ্যান আছোস।আমি ফেইল আর তুই পাস। আরে বাপরে অক্কন আইএ বিএ পাস দিলে কি আর পাওখান মাটিত থাকব?হোন একখান কথা কই,মাইয়া মাইনষের অত গোমর বালা না।আমার মা বইন যেমনে কইব হেমনে চলবি।আর একটা কথা আমার মা বইন কইলাম একটা কামও করত নায়;সব কাম তুই করবি।
রোজিনা হাঁ করে আনাস আর তার মায়ের কথা শোনে।কোন জবাব দিতে পারে না।শুধু মনে মনে একটা ফন্দি আঁটে।আনাস বলেছে আর দুমাস পরে চলে যাবে।তাহলে সে এখানে থেকে কি করবে ? সে ঠিক করে এখানে থাকবে না।বাপের বাড়ি গিয়ে থাকবে আর এবছর না হলেও পরের বছর কলেজে ভর্তি হবে।কিন্তু বোকার মতো সে একদিন আনাসকে এসব কথা বলে দেয়।তখন আনাসও মায়ের সাথে যুক্তি করে ফন্দি এঁটেছে রোজিনাকে গর্ভবতী করেই সে বিদেশে যাবে নইলে এই চঞ্চল মেয়েকে বশে রাখা যাবে না।আর যে কথা সেই কাজ।দুমাসের মাথায় রোজিনার পেটে বাচ্চা এল।তার আর বাপের বাড়ি যাওয়া হলো না।আনাস চলে গেল বিদেশে।আর শাশুড়ি শ্বশুর মিলে রোজিনার জীবনটাকে আজাবে ঠেলে দিল।কারনে অকারণে গালাগালি করে শাশুড়ি।রোজিনা যে আনাসকে ফোন করে বলবে সেকথা তারও কোনও সুযোগ নেই।সেতো ফোনই করে না।কুড়ানো বাড়ানো টাকা জমিয়ে যদিবা রোজিনা ফোন করে আনাসকে তবেতো বকাঝকা করবে ফোন করার জন্য।বলবে আমার মা বোনের বিরুদ্ধে কথা কইবিতো?রাখ তোর ফোন।অখচ রোজ না হলেও সপ্তাহে সে তিন চারদিন বাড়িতে ফোন করে।কিন্তু সব কথা তার মা বাপ আর বোনের সাথে।সকলে মিলে তারা রোজিনার গীবত গায়। ওসব সে শোনে। কোনদিন যদি সে ফোন ধরে তো বলবে আমার বাপ মা বোনের বিরুদ্ধে কোন কথা বলবি না।আমার মাবাবা যা বলবে সেইমত না চলতে পারলে তোরে আমি তালাক দিয়ে দেবো।
শ্বশুর শাশুড়ির কথামতো চলতে রোজিনার কোন আপত্তি ছিল না।সে কখনো মা বাবার অবাধ্য হয়নি।তাই তারা যে আনাসের মাবাবাকে নিজের মাবাবার মতো দেখতে শিখিয়ে দিয়েছিলেন সে চেষ্টা করেছিল তা মানতে।কিন্তু শ্বশুর শাশুড়ির কর্কশ আচরণ ও নিষ্ঠুরতার কারনে সে পারেনি নিজের মাবাবার জায়গায় বসাতে।তবু মাঝে মাঝে রোজিনার মনে হয় শশুর শাশুড়িকে দোষ দিয়ে আর কি লাভ?আসল লোক ঠিক থাকলে এদের নিষ্ঠুরতা সে সহ্য করে নিত।রোজিনা ভাবে তার নিজের যে একটা ফোন আছে আনাস কি সেই ফোনে তাকে একটা কল করতে পারে না?বিয়ের পর একটানা তিন মাস থেকে সেই যে সে বিদেশে গেল,তারপর আর দুবার এসে দুমাস করে থেকেছে।তাহলে পাঁচবছরে সব মিলিয়ে রোজিনা তার সাথে মোটে সাতমাস একত্রে থাকার সুযোগ পেয়েছে।কিন্তু এই সাত মাসে শরীরে শরীরেই শুধু সংযোগ হয়েছে ।মনের সংযোগ হয়নি এবং আনাস তার মনের সাথে সংযোগ সৃষ্টির কোন চেষ্টাও করেনি এবং রোজিনাকেও সে সুযোগ দেয়নি।তবে রোজিনা চেষ্টা করেছে।কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।

আসলে রোজিনা নুরপুর গ্রামের এক তরুণী বঁধু।শ্যামলা একহারা গড়নের মিষ্টি চেহারার বিশ বাইশ বছরের মেয়ে রোজিনা।তার চোখগুলো খুবই সুন্দর কিন্তু ঐ সুন্দর চোখে হাসি নয়,আনন্দ নয় দুঃখ আর যন্ত্রণা লেপ্টে আছে।রোজিনাকে আগে আমি চিনতাম না।সেদিন অফিসিয়াল ফিল্ড ভিজিট করতে গিয়ে দেখি নুরপুর গ্রামের এক ঘরের পেছনের বারান্দায় ম্লানমুখে বসে আছে এক তরুণী।ফিল্ডে ঐদিন যে কর্মীর কাছে এসেছি তাকে না পেয়ে আমি ম্রানমুখ তরুণীকে জিজ্ঞাসা করি আমার কর্মী নীহার এ গ্রামে এসেছে কিনা।সে জানায় নীহার কে তা সে জানে না্। নীহারের প্রতি আমার রাগ হলো।ঠিকমত কাজ করলে এই মেয়ের নীহারকে চেনার কথা।কিন্তু রোজিনার জলভরা চোখ দেখে নীহার ও তার কাজ দেখার কথা আমার মাথা থেকে সরে গেল।ভাবছিলাম এই বয়সী একটি তরুণীর মুখ এমন বিষন্ন কেন?হঠাৎ এই বিষন্ন মুখ আমাকে এলোমেলো করে দিল।তার সাথে আলাপ জমিয়ে তার মনের বিষন্নতা কাটিয়ে দিতে ইচ্ছে হলো আমার।কথায় কথায় জানলাম তার বর বিদেশে থাকে।ফোনে কথা বলে না।বলতে চাইলে শাশুড়ি হাত থেকে ফোন কেড়ে নেয়। আর কারনে অকারণে তার সাথে শাশুড়ি সারাদিন কা কা করে আর শশুড় ননদ সঙ্গত দেয়।বাপের বাড়ি যেতে দেয় না।ফোন করতেও দেয় না।তখনই দেয় যখন তাদের টাকার দরকার হয়।আবার মা ভাইও তেমন খোজঁ খবর করে না।রোজিনা বুঝতে পারে তার জীবনে আজাব নেমে এসেছে।তাই আর বাঁচতে চায় না সে।অথবা চলে যেতে চায় যে কোন খানে।
সে বলে মানুষ ফেইসবুক চালায়, ম্যাসেঞ্জার চালায় রাইতভর জামাইবউ কত ভাব বিনিময় করে। এইযুগে শুধু ধরাছোঁয়াডা ছাড়া মোবাইল দিয়া কি না হয় ম্যাডাম ? কিন্তু রাইতের পর রাইত যায় হে একদিন যদি আমার সাথে কথা কইত।হে ফোন করে আমি ছাড়া আর সবের লগে হাসি মশকরা করে।আর আমি কাঙ্গালের মতো চাইয়া চাইয়া দেখি।গত পাঁচ বছর ধইরা এইবায়ই চলছে।
আমি চুপ করে শুনি আর অনুকূল স্রোতা পেয়ে রোজিনা ফিসফিস করে তার দুঃখের বয়ান দিয়ে চলছে।বুঝলেন নি ম্যাডাম সে যখন এইখানে আসে তখন আমার কাছাকাছি যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ এমন একটা ভাব করে যেন রোজিনাকে বিয়া কইরা সে উদ্ধার করছে।এই যে আমার জামাই আর পরিবারের সব লোক আমার সাথে দূর দূর করে,আমার সব কামে খুত ধরে আমারে পাত্তাই দেয় না হের কারণ আমি জানিনা।আমি এও জানিনা ক্যান তারা আমারে এই বাড়িতে আনল।আমার চাইর বছরের পোলাটার মাথা চিবাইয়া খাইতে শুরু করছে তারা।আমার পোলাও যাতে আমার ধারে না ভিড়ে হের ট্রনিং শুরু করছে অক্কনই।পোলাটা যাতে হাতছাড়া না হয় হের লিগি আমি বাপের বাড়ি গিয়া বইয়া থাহি।তাতে বাপের বাড়ির লোকও আমারে খুব একটা পছন্দ করে না।কিন্তু তাও যাই এছাড়া আর কই যামু কন?ফিরা ইহানো আইবার লিগি তাড়া দেয় ইহানোর মানুষ অথচ যখন আইয়া পড়ি আর দেখতে পারে না। আমি অক্কন কই যাই আন্টি এট্টু কইয়া দেন না।
রোজিনা একটু দম নেয়।একাশিয়া করই গাছের ডালে এখনও শনশন করে বাতাস বয়ে যাচ্ছে।বাতাসে পুকুরের পানি তিরতির করে কাঁপছে।রোজিনার বুকের পুকুরেও থির থির ঢেউ উঠে আর হুহু করে নিশ্বাস বয়ে যায়।ওড়নার খুঁট দিয়ে সে চোখ মুছে।তারপর বলে আন্টি আরকটা কথা-সে আমারে ফোন দেয় না কিন্তু অবসর সময়ে কিংবা রাইতের বেলা তার বান্ধবীদের নিয়া যে লালবিলাস করে তার সব ছবি ভিডিও তুইল্যা আমারে মেসেঞ্জারে পাঠায় আর লেখে দ্যাখ এগোর কত ক্ষমতা কত পাওয়ার।তর যুদি এমন পাওয়ার থাকতো তাইলে না সব ফালাইয়া থুইয়া তোর কাছে আইয়া দিনে রাইতে বইয়া থাকতাম।আর এইডা একদিন দুইদিন না আন্টি এই নতুন যন্ত্রণা শুরু হইছে পাঁচ ছয় মাস ধইরা।যতদিন হে তার বান্ধবীরার লগে রাইত কাটায় সেইসব রাইতের কীর্তিকলাপ ছবি তুইলা ভিডিও কইরা আমার কাছে পাঠায়।পাঠাইয়া তহন একটা ফোন করে তার কীর্তিকলাপের বিবরণ দেয় আর হাসে, হাসে আর আমারে ভেঙ্গায় আর আমারে উসকায়।আন্টি কন এমুনটা কি সহ্য অয়?

রোজিনা নিজেই উত্তর দেয় না এসব সহ্য করা যায় না।কিন্তু আমি নিরুপায়।দিনরাইত চব্বিশ ঘন্টা এইসব আমার সহ্য করন লাগবো।আমি একটা মানুষ যে তার কোনো দাম নাই।আমার জীবনে প্রেম নাই,ভালবাসা নাই,কারোর এট্টু আদর সোহাগ নাই।আমি একটা আজাবের মাঝে আছি আন্টি।মা বাপ আমারে সুখী করতে যাইয়া আমারে আজাবের মাঝে ঠেইল্যা দিছে।ঐ যে দেখতাছেন আজাবের তুপ- রাস্তার ওপাশে একটা ময়লা আবর্জনার স্তুপ দেখিয়ে রোজিনা বলে আমার জীবনটা ঐরম একটা আজাবের তুপ অইয়া গেছে।বলতে বলতে রোজিনার দুচোখে জল টলটল করে। সে আর সামলাতে পারে না।দুগাল বেয়ে ঝরঝর করে ঝরে পড়ে সে জল।এবার ওড়নার খুঁটে সে জল আর সে মুছে না।
বলে ভাবছি যেদিকে দুইচউখ যায় চইলা যামু।জানি না কই যামু কিন্তু চইলা যামু।পোলার মায়া?ধুর!ছাইড়া দিমু।কি হইব পোলা দিয়া?পোলার মনে হেরা বিষ ঢুকাইতাছে।অখনই পোলা আমারে পাত্তা দেয় না।তাইলে এই আজাবে ক্যান থাকুম?আমি চইলা যামু যেদিকে চউখ যায়।এইবার রোজিনার চোখের জলে যেন একটা আগুন ঝিলিক দিয়ে ওঠে ।