সোমনাথ রায়ের কবিতা

প্রস্তাব
একচেটিয়া আধিপত্য থেকে মুক্ত করো
আমার যৌবন আর তোমার লালসা।
মাজা ভেঙে দিচ্ছ কার! কে তোমাকে জীবন চেনাবে!
তার পরিণতি হোক সাহস ও প্রেম।
আলোর আকাঙ্ক্ষা করে যেখানে গাছেরা
সেখানে আকাশ দাও, পাখিদের বসাও শাখায়।
গান ছবি কথা তুলে ধরবে তোমাকেই
শ্মশানেও যাবে তারা, আঁতুড়েও যাবে।
নকশিকাঁথার দুপিঠ
ঝড়ের বাতাস উড়ে বেড়াচ্ছে সৈকতে
সমুদ্র খেয়ালি ঢেউ মেখে নিতে নিতে
একশ দিনের কাজে আসা মজুর ও মজুরানি
খোয়া পাথরের পাশে দ্যাখে নিজেদের—
চুপসে যাওয়া জলের বোতল আর তেজস্বী বৈভব
সমান নাগরিকের ভানে পৃথিবীর ঘোড়াদের
ছেড়েছে জুয়ায়, ধর্ম থেকে নির্বাচন
রুটি ও কাপড় নিয়ে তেড়ে আসে, আর
ভাটাকে বাঁচিয়ে রাখা যাবতীয় জোয়ারের হৈচৈ
কথার ওপরে কথা বোনে নকশিকাঁথার দুপিঠে।
শিষ্টাচার
চোখের দূরত্ব থেকে তুমি নেমে এসে
ঝড়ো বাতাসের বেগে অচমকা বুকের কাছাকাছি
এতটা শিষ্টাচারের কাছে আমি হতবুদ্ধি হই
খেয়ালই ছিল না, আলো জ্বলছে না আলেয়া পরিবৃত
এখন কোথাও কেউ পৌঁছতে পারে না
আধা পূর্ণতার মধ্যে পরিপূর্ণতার খোঁজ চলে
আমি এক বানভাসি এলাকা থেকে এসেই এমন
মরুভূমি পাবো সত্যি স্বপ্নেও ভাবিনি
টেরাকোটা দেখতে দেখতে কেউ কি কখনো
শিল্পী বা চিমনীর কথা ভাবে—
আমাকে ভাবালে।