নাদিম সিদ্দিকীর কবিতা

আঁধার আরাধ্য
অরণ্য আর মরুভূমির বুকে বাঁচার স্পন্দন খোঁজে
শীত আর উত্তাপের মাঝে সহনশীলতা চেয়ে
আমি পারিনি তোমার হতে
তোমার মতো করে তোমাকে পেতে।
অথচ কথাছিল রক্ত প্লাবন শেষে
কীর্তিনাশার কালো স্রোতে খুঁজে নেবো পুষ্পের হাসি
পুরোনো খড়কুটো ঝেড়ে বাঁধবো সচ্ছলতার ঘর
যেন চতুর আষাঢ়ে ভালোবাসা কখনো হয় না পর।
তাই তো ভালোবাসার কাছে ভালোবাসা চেয়ে
না হলো সংসার না হলো সন্যাস
না দিয়ে শুরু যৌবনে কিচ্ছু হলো না আর।
আজ ভ্রষ্ট আঁধারে ঢেকে গেলে গেছে আমার জীবন
আমাদের যৌথ খামার।
আমি না হয় ভুল করেছি
ভুল ফাগুনের কাছে প্রেম খুঁজেছি
কী আসলো গেলো তাতে!
এক জীবনে নাই বা হলো যুগলবন্দী সংসার
হৃদয় মাঝে তুমিই তো আরাধ্য তীর্থ আমার।
পবিত্রতা
আভিজাত্যের কাছে বলি হওয়া ভালোবাসা
যে নগ্ন পদচারণায় কামনার সঙ্গী হতে চায়,
সে আবেগের তাড়নায় বার বার হয়েছি
কামনার দাস।
যে মানুষগুলো আজ বিবেকহীন মনুষ্যত্বহীন
শুধু নষ্টামির সঙ্গী হতে চায়
ব্যস্ত নগরীর অলিতে গলিতে হোটেল রেস্তোরায়।
লজ্জায় নতজানু আড়ষ্ট কুমারী ভূমিষ্ট করে
পাপিষ্ঠ দেহ।
সেই নগ্ন সমাজে জন্মে
মনেহয় আমিই নগ্নতার পূজারী,
নিজের অজান্তে নিজেকে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে।
আসলে আমিই কি বানচোত?